তিন বন্ধু একটি বিল্ডিংয়ের ১০৮ তলায় থাকে। তারা তিনজন প্রতিদিন লিফট দিয়ে বাসায় আসা যাওয়া করে। একদিন লিফট নষ্ট হয়ে যায়। তাই তাদের সিঁড়ি দিয়ে আজ উঠতে হবে। তখন এক বন্ধু বলল, “আমাদের মধ্য হতে দুইজন দুইটা হাসির গল্প বলবে, আর একজন একটা কষ্টের গল্প বলবে। তাহলে আমরা গল্পগুলো এনজয় করতে করতে ১০৮ তলায় পৌছে যাব।
প্রথম জন একটা হাসির গল্প বলল, তারা ৪৫ তলায় পৌছে গেল। আর একজন আরেকটি হাসির গল্প বলল, তারা ৯৯ তলায় পৌছে গেল।
তৃতীয় জন বলল, “কষ্টের গল্প আর কি বলব, আমার তো ফ্ল্যাটের চাবি নিচে গাড়িতে ফেলে এসেছি!!!”
শিক্ষক: মশা মাছি অনেক রোগ ছড়ায়, তাদের বংশ বৃদ্ধি রোধ করতে হবে।
ছাত্র: হা হা হা হি হি হি হি হি হি…..
শিক্ষক: হাসির কি হলো?
ছাত্র: স্যার এতো ছোট বেলুন বানাবেন ক্যামনে!!!
সেদিন সি এস সি আর হাসপাতালে ডিউটি করার সময়, এক সহকর্মী বড়ভাই জিজ্ঞেস করলেন, “ক’টা বাজে দেখ তো?” উত্তর দেই, “জানি না, ঘড়ি দেয়ালেরটাও নষ্ট, আমার হাতেরটাও।” (উল্লেখ্য, তিনি যেদিকটায় বসেছিলেন, সেখান থেকে দেয়াঘড়িটা দেখা যায় না।) তিনি আমার হাতঘড়ির দিকে ভাল করে খেয়াল করে বলেন, “কই, ঘড়ি তো চলে দেখি …”
“শুধু সেকেন্ডের কাঁটা চলে, ঘন্টা-মিনিটের কাঁটা চলে না, নষ্ট।”
“ঘন্টা মিনিটের কাঁটা নষ্ট হইলে, এই ঘড়ি কি জন্য পড়স?” বড়ভাই তাজ্জব।
“রোগীর পাল্স দেখি।
এক মেয়ের কাছে একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল আসল।
মেয়ে : হ্যালো.
ছেলে : তোমার কি কোন বয়ফ্রেন্ড আছে??
মেয়ে : হ্যাঁ আছে কিন্তু আপনি কে??
ছেলে : আমি তোর ভাই, দাঁড়া আজকে বাড়িতে আসি তোর খবর আছে!!!
কিছুক্ষণ পর মেয়েটির নিকট আবার অপরিচিত নাম্বার থেকে আরেকটি কল আসল-
মেয়ে : হ্যালো!
ছেলে : তোমার কি কোন বয়ফ্রেন্ড আছে??
মেয়ে : না।
ছেলে : তাহলে আমি কে??
মেয়ে: স্যরি স্যরি জান! আমি মনে করেছি এটা আমার ভাই।
ছেলে : আমি তোর ভাই-ই, আজ তোর একদিন কি আমার একদিন!!!
একদিন জুমার নামায পড়ে, বাসায় ফেরার আগে, একটা চিপাগলির ভেতর আরেকটা অতিচিপাগলির মাথায় দাঁড়িয়ে মার্লবোরো ফুঁকছিলাম, পরিচিত মুরুব্বীদের চোখ বাঁচিয়ে। ওখানে একটা ঘরের ভেতর এক পিচ্চিকে তার মা নামতা পড়াচ্ছিলেন।
মাঃ “দুই একে?”
পিচ্চিঃ (দূর করে, টেনে টেনে) “দুউউইই”
মাঃ “দুই দুগুণে?”
পিচ্চিঃ “চাআআর”
মাঃ “তিন দুগুণে?”
পিচ্চিঃ “ছঅঅয়”
মাঃ “চার দুগুণে?”
পিচ্চিঃ “আঠেরো” (!!!)
মাঃ (শাসনের কড়া সুরে) “কি? চার দুগুণে কত?”
পিচ্চিঃ (আবারো সুর করে) “আঠেরোওও”
মাঃ “ইন কি হদ্দে তুই? আবার হ” [এগুলো তুই কি বলছিস? আবার বল]
পিচ্চিঃ “আবার?”
মাঃ “অ, ফইল্লাত্তুন হ” [হ্যাঁ, প্রথম থেকে বল]
পিচ্চিঃ “দুই একে, দুউউইইই; এঁএঁ(চিন্তিন্বিত) দুই দুগুণে, চাআআর; এঁএঁ, তিন দুগুণে, ছঅঅঅয়; এঁএঁম, চার দুগুণে, আঠেরোওও …”
মাঃ “আই! তিন দুগুণে ছ, ছ আর দুইয়ে হত?”
পিচ্চিঃ (একটু চুপ থেকে) “আঠেরো”
মাঃ “এই, এইবার ফিট্ট্যুম দরি, একত্তুন দশ গুন সাই” [এইবার পিটা দেব, এক থেকে দশ গোন তো]
পিচ্চিঃ “এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাতেরো, আঠেরো …” (!!!)
তখন ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। অ্যানাটমী ক্লাশ। কোন কারণে আমাদের নিয়মিত স্যার তখনও এসে পৌঁছান নি। আমরা হুলুস্থুল আড্ডায় মত্ত। হঠাৎ অন্য সেকশানের ব্যাচ টিচার, ঝর্ণা ম্যাডাম এসে হাজির। আমাদের কতদূর পড়া হয়েছে জেনে নিলেন। তারপর বললেন, ডিসেকশান হলে আস। সবাই গেলাম। ম্যাডাম ক্যাডাভার (মৃতদেহ) থেকে পেটের অংশ (Anterior Abdominal wall) পড়ানো শুরু করলেন। এক পর্যায়ে কোথাও একটু কনফিউশন হওয়াতে বললেন, ‘নীটার অ্যাটলাস’ বইটা আনতে। আমি আর আমার এক বন্ধু বেরুলাম লাইব্রেরীর উদ্দেশ্যে। আমাদের ক্লাশরুমের কাছাকছি আসতেই দেখি আমাদের নিয়মিত স্যার হাজির। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “ক্লাশ খালি কেন? কোথায় সবাই?” বন্ধুটি বলে, “সবাই ডিসেকশান হলে, স্যার।” “কেন? ওখানে কেন?” এবার বন্ধুটির চট জবাব, “ওখানে ঝর্ণা ম্যাডাম বডি দেখাচ্ছেন।” (!!!)
প্রফেসর শেষ ক্লাসে ঘোষণা করলেন, ‘পরশু পরীক্ষা। কেউ কোনও অজুহাত দিয়ে পার পাবেন না। তবে নিকটাত্মীয়ের মৃত্যু কিংবা মারাত্মক শারীরিক অসুস্থতা হলে ভিন্ন কথা। ‘
পেছন থেকে এক ফাজিল ছোকরা বললো, ‘মাত্রাতিরিক্ত সেক্সজনিত ক্লান্তি হলে কি চলবে স্যার?’
ক্লাসে হাসির হুল্লোড় পড়ে গেলো। শব্দ থামার পর প্রফেসর বললেন, ‘উহুঁ, সেক্ষেত্রে তুমি অন্য হাতে লিখবে।